১. পরিদর্শন-পরিক্রমা জরিপ :
একটি সম্পূর্ণ এলাকা সম্বন্ধে বিস্তারিত জানা, যা পরিকল্পনার আওতায় আনা যায়। মোহাম্মদপুরের জন্য কর্মপরিকল্পনা প্রস্তুত করতে, প্রকল্পের দলটি বেশ কয়েকটি স্থান পরিদর্শন করেছে এবং এর মধ্যে রাজা সীতারামের প্রাসাদটি ঐতিহাসিক ও প্রত্নতাত্ত্বিকভাবে সমৃদ্ধ হবার কারণে একে বেছে নেওয়া হয়েছে।
২. কর্ম-পরিকল্পনার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য :
১. প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহ – প্রাসাদ এলাকার জন্য একটি পুনরুদ্ধার পরিকল্পনা তৈরি করা এবং এলাকাটিকে একটি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা ছিল প্রাথমিক উদ্দেশ্য। এছাড়া প্রাসাদ এলাকায় কিছু ঐতিহাসিক হিন্দু মন্দির থাকায় তীর্থযাত্রীদের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।
২. মাধ্যমিক তথ্য সংগ্রহ – রাজা সীতারাম রায়ের প্রাসাদের সাথে প্রাসঙ্গিক তথ্যগুলো বিভিন্ন উৎস থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে (যেমন ইন্টারনেট, সংবাদপত্র, সাহিত্য)। সার্ভে অফ বাংলাদেশ (এসওবি) থেকে ডেটাবেস সাইটের জন্য সংগ্রহ করা হয়েছে। সাহিত্য ও ইতিহাস, জেলা ভৌগোলিক অভিধান ও প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রাসাদ এলাকার একটি স্কেচ উপজেলা ওয়েব-পোর্টালে পাওয়া গেছে যেখানে শহরটির পুকুর, কাঠামো, পরিখা এবং মন্দির সহ বেশ কয়েকটি উপাদান চিহ্নিত করা হয়েছে। পরিকল্পনার উদ্দেশ্যে, মোট এলাকাকে তিনটি বিভাগে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছে- ক) ঐতিহ্যবাহী কাঠামো: কাচারিবাড়ি, দোলমঞ্চ, দশভূজা মন্দির, লক্ষ্মী মন্দির, প্রসাদ ও তোষাখানা খ) ঐতিহ্যবাহী পুকুর: পদ্মপুকুর, দুধপুকুর, সাধুপুকুর, নয়াবাড়ি পুকুর, উত্তর পুকুর গ) ঐতিহ্যবাহী স্থান: জাহাজভিরা নালা, নয়াবাড়ি ঢিবি, বিলাসগৃহ, পরিখা।
|