ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের নতুন উদ্যোগ হল ফ্লাইওভার, ডাস্টবিন ডিপো, উন্মুক্ত দেয়াল এবং ফাঁকা জায়গাগুলোয় ম্যুরাল আঁকা যাতে শহরের রাস্তাগুলিকে প্রাণবন্ত এবং রঙিন মনে হয়। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র, মোঃ আতিকুল ইসলাম ঢাকাকে বর্ণিল ও লোকশিল্পে রাঙানোর উদ্যোগ নিয়েছেন। তবে, শিল্পকর্মের মান এবং একই ঐতিহ্যগত মোটিফের বারবার ব্যবহার নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। ম্যুরালগুলিকে একটি আলাদা মোড় দিতে, আর্টিস্ট নাবিলা রহমান, "আর্ট অ্যান্ড সোল" এর প্রতিষ্ঠাতা, ডিএনসিসি (DNCC) মেয়র অফিসের অনুমোদন, অর্থায়নে এবং একজন গুরুত্বপূর্ণ দাতার (আমিনা আহমেদ, মীনা ট্রাস্ট) পৃষ্ঠপোষকতায় বনানী রোড ২১/এ-তে একটি প্রকল্পের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ম্যুরাল প্রজেক্টটি গতকাল থেকে সকলের দেখার জন্য, উপভোগ করার জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে৷ |
ছবি স্বত্ব: আর্টিস্ট শক্তি ভৌমিক |
ছবি স্বত্ব: আর্টিস্ট শক্তি ভৌমিক |
ঢাকা শহরের প্রায় হারিয়ে যাওয়া বা অবহেলিত উদ্ভিদ ও প্রাণীর প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে আর্টিস্ট নাবিলা বলেন, "উভয় ডোনার-এর কাছ থেকে ভালো মানের অর্থায়নে, আর্ট অ্যান্ড সোল নয়জন প্রতিভাবান আর্টিস্টকে একত্রিত করেছে একটি অত্যাশ্চর্য ২৫০-স্কয়ার ফিটের একটি ম্যুরাল তৈরি করার জন্য। ম্যুরালটি বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল এন্ড কলেজের একটি দেয়ালে করা হবে। |
প্রজেক্ট ম্যানেজার এবং সহ-কিউরেটর, প্রখ্যাত আর্টিস্ট এবং শিক্ষিকা ফারেহা জেবা বলেন, "কৃষ্ণচূড়া ফুল এপ্রিল এবং মে মাসে আমাদের রাস্তাগুলোকে আলোকিত করে তোলে।তবে, এ ফুল, অন্যান্য ফুলের মতো মানুষের কাছে খুব একটা সাড়া জাগায় না। তাই, এই বিশাল প্রাচীরটির কেন্দ্রে ফোকাস হিসাবে জ্বলন্ত লাল ফুল দিয়ে আঁকা হয়েছে। " আর্টিস্ট শক্তি ভৌমিক ব্যাখ্যা করেছেন কীভাবে ম্যুরালে কোনও ব্যাকগ্রাউন্ড কালার নেই, কারণ তারা তাদের বিষয়কে বাস্তবসম্মত শিল্পের ফর্মে তুলে ধরতে চেয়েছিলেন।"আমরা একটি অফ-টোন থিম নিয়ে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং পপ আর্টের সাথে খুব ঝলমলে রঙে যাব না। এছাড়াও, আমরা কোনো বার্তা বা বিখ্যাত উক্তি নিয়ে কাজ করতে চাইনি।" আর্টিস্টদের টিম অনুভব করেছিল যে আমরা শহর তৈরি করতে প্রকৃতিকে ধ্বংস করি, কিন্তু ভুলে যাই যে শহরটি গাছ এবং প্রাণীদেরও। |
ছবি স্বত্ব: আর্টিস্ট শক্তি ভৌমিক |
ছবি স্বত্ব: আর্টিস্ট শক্তি ভৌমিক |
"এই ম্যুরালটি বাংলাদেশের বৈচিত্র্য এবং সৌন্দর্যের একটি সুন্দর প্রতিফলন হবে, যেখানে বাস্তবসম্মত প্রাকৃতিক উপাদান রয়েছে, যেখানে পশু এবং পাখিরা রাস্তাগুলিকে তাদের নিজস্ব বলে দাবি করে৷ এটি কেবল একটি স্থির শিল্প নয়; এটি একটি ইন্টারেক্টিভ অভিজ্ঞতা ভাগ করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে৷ এবং সবাই উপভোগ করেছে,” নাবিলা বলেন। এই প্রজেক্টের লক্ষ্য হল সম্প্রদায় এবং স্বত্বের অনুভূতি প্রদান, কথোপকথন শুরু করা, এবং আমাদের শহরকে পশুদের সাথে ভাগ করে নেওয়ার বিষয়ে ইতিবাচক পরিবর্তন এবং সচেতনতাকে অনুপ্রাণিত করা। |
ছবি স্বত্ব: আর্টিস্ট শক্তি ভৌমিক |
ছবি: দলের সদস্যরা |
সহকারী সম্পাদনায়: স্থপতি ফাইজা ফাইরুজ |