বাংলাদেশী স্থপতি মেরিনা তাবাসসুম, তার অনন্য ডিজাইন এবং সৃজনশীলতার জন্য পরিচিত। টাইম ম্যাগাজিনের ২০২৪ সালের ১০০ জন সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তির তালিকায় তিনি স্থান পেয়েছেন। স্থপতি মেরিনা তাবাসসুম, ‘মেরিনা তাবাসসুম আর্কিটেক্টস (MTA)’ এর প্রধান স্থপতি। খ্যাতনামা এ স্থপতির জন্ম ১৯৬৮ সালে। ২০১৬ সালে দেশবরেণ্য এ স্থপতি তার বাইত উর রউফ মসজিদ প্রকল্পের জন্য মর্যাদাপূর্ণ আগা খান পুরস্কার পান। কমিউনিটি-কেন্দ্রিক, স্থায়ী এবং দীর্ঘমেয়াদী স্থাপত্য নকশার জন্য তিনি বিখ্যাত। তিনি স্থানীয় কমিউনিটির সমস্যা এবং চাহিদাগুলো মেটানোর জন্য ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির আলোকে নান্দনিক স্থাপত্যচর্চা করেন। |
‘মেরিনা তাবাসসুম প্রতিনিয়ত চর্চার মাধ্যমে তার কাজের একটি ধারা তৈরি করেছেন, যেখানে স্থানীয় সংস্কৃতি, মূল্যবোধকে প্রাধান্য দেয়া হয় এবং স্থানীয় জনগণ চারপাশে যেসকল বাঁধা-বিপত্তির সম্মুখীন হয়, সেগুলোকে অগ্রাধিকার দিয়ে নকশার কাজ করা হয়। পৃথিবীতে অবস্থানকারী প্রাণীরা যেমন নিজস্ব বাসস্থান হিসেবে পৃথিবীর সম্পদের রক্ষণাবেক্ষণ করে, ঠিক তেমনি স্থপতি মেরিনা তাবাসসুম তার প্রকল্পগুলোকে গুরুত্ব সহকারে নিজস্ব মৌলিক ডিজাইনের মাধ্যমে তুলে ধরেন। ঢাকা, বাংলাদেশে তার আগা খান পুরস্কারপ্রাপ্ত বাইত উর রউফ মসজিদের বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন যে একটি বিল্ডিংকে কোনোরকম কৃত্রিমতা ছাড়াই পরিবেশবান্ধব হিসেবে গড়ে তোলা প্রয়োজন।‘- টাইম ওয়েবসাইটে উল্লেখ করা হয়। |
ছবি : বাইত উর রউফ মসজিদ, ঢাকা, বাংলাদেশ |
টাইম ওয়েবসাইটে আরও বলা হয় - দেশের অন্যান্য জায়গায়, যেখানে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বন্যার ঝুঁকি বেড়েছে, স্থপতি মেরিনা তাবাসসুম এমন বাড়ি তৈরি করেছেন যেগুলি সাশ্রয়ী এবং স্থানান্তর করা সহজ - স্পষ্টতই, ভবনগুলি পরিবেশবান্ধব হওয়ার সাথে সাথে তাদের দুর্যোগ মোকাবেলায়ও সক্ষম হতে হবে। মেরিনা তাবাসসুম স্থানীয়ভাবে তার প্রকল্পগুলোর নকশা প্রণয়ন করেন, পাশাপাশি হাতে-কলমে শেখানো এবং দেশ ও দেশের বাইরে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে লেকচার দিয়ে থাকেন।আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত এই স্থপতি, স্থাপত্যকে আলাদা করে নয়, বরং সকলের সম্মিলিত প্রচেস্টার একটি মডেল হিসেবে তুলে ধরেন। |
সম্পাদনায় : স্থপতি ফাইজা ফাইরুজ |