প্রকল্পের স্থান: বিজয় সরণি, ঢাকা ক্লায়েন্ট: বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী এরিয়া: ৯.৩ একর প্রকল্প শুরুর বছর: ২০১৬ প্রকল্প সমাপ্তির বছর: ২০২২ আর্কিটেকচারাল কনসালটেন্ট: স্থপতি আলী ইমাম, স্থপতি বায়েজিদ মাহবুব খন্দকার সহযোগী স্থপতি: স্থপতি সামিউল আলম ল্যান্ডস্কেপিং: স্থপতি শহীদুল্লাহ ফারুক, স্থপতি রবিউল ইসলাম রবি স্ট্রাকচারাল কনসালটেন্ট: অ্যাডভান্স ইঞ্জিনিয়ারিং (ইঞ্জিনিয়ার মোনায়েম হোসেন, রুমা রানী বসাক) এমইপি পরামর্শদাতা: এসএম ইঞ্জিনিয়ারিং (ইঞ্জিনিয়ার মুস্তাফিজুর রহমান) ইন্টেরিয়র কনসালটেন্ট: নাজনীন হক মিমি, স্থপতি তানজিম হাসান সেলিম, স্থপতি এমডি সাফায়েত, স্থপতি রম্য রহিম চৌধুরী লাইটিং: প্ল্যাটফর্ম সলিউশন |
বাংলাদেশ সামরিক জাদুঘরে বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং বিভিন্ন কর্মকাণ্ড সম্বন্ধে জানা যায়। এটি বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘর নামেও পরিচিত। সামরিক ইতিহাসের ভান্ডার হওয়ার পাশাপাশি জাদুঘরটি একটি নগর-সংস্কৃতির ল্যান্ডমার্ক হিসেবে কাজ করে। এর বিভিন্ন নাগরিক এবং শিক্ষামূলক প্রোগ্রামগুলো দর্শনার্থীদের চমৎকৃত করে। এর প্রদর্শনী স্থানগুলো, যেমন - অ্যাম্ফিথিয়েটার, সম্মেলন কক্ষ, ডাইনিং, সিনেমা হল ইত্যাদি এখানকার দর্শনার্থীদের মাঝে সাংস্কৃতিক, বিনোদনমূলক এবং সামাজিক সম্পৃক্ততা তৈরি করে। |
সাইট এবং কনটেক্সট: বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘরটি জাতীয় সংসদ ভবনের পূর্ব পাশে এবং বঙ্গবন্ধু নভোথিয়েটারের পশ্চিম পাশে ১০ একর জমিতে নির্মিত হয়েছে। সাইটের ঠিক উল্টোপাশে এয়ার ফোর্স পার্ক এবং পুরাতন বিমানবন্দরের গণভবন ও বধ্যভূমি রয়েছে।ঢাকার বিজয় সরণী রোড হয়ে সাইটে প্রবেশ করতে হয়। |
জোনিং: স্বাধীনতার আগে ও পরে সামরিক বাহিনীর বিভিন্ন সরঞ্জামাদি এখানে রাখা হয়েছে। তিনটি পৃথক কোর্ট দ্বারা এর জোনিং করা হয়েছে, প্রতিটি কোর্টের আলাদা উদ্দেশ্য রয়েছে: ফর্মাল কোর্ট (রূপালি) - সামনে অবস্থিত, এই কোর্টটি জনসাধারণের প্রবেশ এবং সমাবেশের প্রধান স্থান হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এতে সুন্দরভাবে বসার জায়গার ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং সবুজ গাছের সারি রয়েছে। দর্শনার্থীদের জন্য এটি একটি স্বাগতপূর্ণ পরিবেশ তৈরি করে। ইনফর্মাল কোর্ট (নীল) – এই বৃত্তাকার সবুজ স্থানটিতে একটি কেন্দ্রীয় জলাশয় রয়েছে। এই কোর্টটি একটি বহিরাঙ্গন প্রদর্শনী স্থান হিসেবে কাজ করে। সাংস্কৃতিক কোর্ট (সবুজ) - সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য এখানে একটি অ্যাম্ফিথিয়েটার চালু করা হয়েছে। |
ফর্মাল কোর্ট হল একটি নির্দেশিত স্থান, যেখান থেকে দর্শনার্থীদের শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে জাদুঘর পরিদর্শনের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। ইনফর্মাল কোর্ট এবং সাংস্কৃতিক কোর্টে দর্শনার্থীরা অবাধে চলাফেরা করে। লম্বা সবুজ গাছের সারিগুলো সাইটের সামগ্রিক নান্দনিকতা বৃদ্ধি করে। এই প্রকল্পে খাদ্য সরবরাহের দোকান এবং শৌচাগারের মতো প্রয়োজনীয় জনসাধারণের সুযোগ-সুবিধা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যার ফলে এ জায়গাটি দর্শনার্থীদের কাছে জনপ্রিয়। |
নকশা বিবেচনা: ভবনের প্রাঙ্গণে প্রবেশের পর, আকর্ষণীয় সেন্ট্রাল প্লাজাটি দর্শনার্থীদের নজর কাড়ে। বৃত্তাকার সবুজ কোর্টের সাথে মূল ভবনটি সংযুক্ত। সামনের দিকের প্রশস্ত কোর্ট, প্রতিটি ফ্লোরের উচ্চতার বৈচিত্র্য এবং যেকোনো দিক হতে জাদুঘরটির মনোরম দৃশ্য একে সম্ভবত বাংলাদেশের সেরা জাদুঘরগুলির মধ্যে একটি করে তুলেছে। |
আলো: আলোকসজ্জা এবং ছায়ার পরিকল্পনা • প্রদর্শনী-কেন্দ্রিক আলোকসজ্জা: প্রাথমিক গ্যালারীগুলিতে গতানুগতিক আলো পরিহার করে কেন্দ্রীভূত আলোকসজ্জা আনা হয়, যা শিল্পকর্মগুলিকে নাটকীয় করে তোলে। • প্রাকৃতিক আলো: সার্কুলেশনের জায়গাগুলোয় প্রাকৃতিক আলোর একটি গ্রেডিয়েন্ট তৈরি হয়, যা দর্শনার্থীদের জন্য একটি আরামদায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করে। • ডিজাইন টুল হিসেবে বৈপরীত্য: ভবনের আলো-আঁধারির ব্যবস্থা, দর্শনার্থীদের একটি ছন্দময় এবং নান্দনিক অভিজ্ঞতা দেয়। পানি: মাইক্রোক্লাইমেটিক মডুলেশনের একটি মৌলিক উপাদান • হাইড্রোলজিক্যাল সিস্টেম (পানি সম্পদের পরিকল্পনা): এ প্রকল্পে, জলাশয় একটি নান্দনিক উপাদান হিসেবে কাজ করে, যা কমপ্লেক্সটির তাপ সঞ্চয় হ্রাস করে এবং পরিবেশ শীতল রাখে। • বৃষ্টির পানি সংগ্রহ এবং ভূগর্ভস্থ পানি পুনর্ব্যবহার: এই স্থানের ঝড়ের পানি ব্যবস্থাপনা কৌশল জলের স্থবিরতা রোধ করে এবং টেকসই জলবিদ্যুৎ চক্রকে শক্তিশালী করে। • নিয়ন্ত্রিত শব্দতরঙ্গ: চলমান জলের নিয়ন্ত্রিত শব্দতরঙ্গ, শহরের কোলাহলপূর্ণ পরিবেশের মাঝে জাদুঘরটির একটি শান্ত-স্থবির ছবি প্রকাশ করে। |
|
বায়ু: জলবায়ু সম্বন্ধীয় উপাদান • তাপীয় ভর অপ্টিমাইজেশন: কমপ্লক্সটিতে ফেয়ার-ফেসড কনক্রিট ব্যবহার করা হয়, যা তাপের প্রভাব কমিয়ে আনে এবং প্যাসিভ কুলিং নিশ্চিত করে। • পরিবেশগত নিয়ন্ত্রণ: জাদুঘরটিতে একটি হাইব্রিড বায়ুচলাচলের সিস্টেম তৈরি করা হয়েছে, যাতে দর্শনার্থীরা স্বাচ্ছন্দে জায়গাটি ঘুরে দেখতে পারেন। • জলবায়ু নিয়ন্ত্রণে ব্যবহৃত উপাদান: ব্যাপক পরিমাণে চাকচিক্যময় উপাদান ব্যবহার না করার ফলে অতিরিক্ত সৌরতাপ নিয়ন্ত্রিত হয়। গাছপালা: • স্থানীয় গাছপালা রোপণ: রক্ষণাবেক্ষণের সুবিধা এবং জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের জন্য ল্যান্ডস্কেপ ডিজাইনে স্থানীয় গাছপালা ব্যবহার করা হয়। •কেন্দ্রীয় গ্রীন কোর্ট: এই গ্রীন কোর্টটি একটি জলবায়ু নিয়ন্ত্রক হিসেবে কাজ করে এবং একটি শীতল, ছায়াযুক্ত পরিবেশ তৈরি করে। •ভার্টিক্যাল সবুজ অবকাঠামো: সবুজ দেয়ালগুলো এবং কমপ্লেক্সের পরিসীমা বরাবর রোপণ করা গাছগুলো তাপ দ্বীপের প্রভাব (Heat Island Effect) হ্রাস করে এবং কমপ্লেক্সের চারপাশের পরিবেশের সাথে একটি সংযোগ তৈরি করে। •ছাদে সবুজের ব্যবস্থা করা: সবুজ ছাদ ইন্সুলেশনের মাধ্যমে কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং তাপের অনুপ্রবেশ কমিয়ে পরিবেশ শীতল রাখে। |
নকশা নীতি: ভবিষ্যত সম্পর্কে চিন্তাশীল - এমন একটি স্থাপনার দৃষ্টান্ত স্থাপন • ‘জিওডেসিক’ আকৃতির গম্বুজটির সাহায্যে জাদুঘরের অভ্যন্তরে দিনের আলোর সর্বোচ্চ ব্যবহার করা হয়। একইসাথে, তাপমাত্রার প্রভাবও হ্রাস পায়। • জাদুঘরের ল্যান্ডস্কেপটি এমনভাবে পরিকল্পনা করা হয়েছে, যেন চারপাশের ঘনবসতিপূর্ণ পরিবেশের মাঝে একটুখানি ঠিকানা করে দেয়। • স্থানিক এবং বস্তুগত দিক হতে স্থাপত্যের নিয়ম-নীতি অনুসরণ করে জাদুঘরটি বাংলাদেশের ঐতিহ্যকে তুলে ধরে, যা একইসাথে বাংলাদেশের জলবায়ু-বান্ধব একটি প্রকল্প। |
মাস্টারপ্ল্যান:
জাদুঘরটি জনসাধারণের জন্য একটি শিক্ষামূলক এবং বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে কাজ করে। জাদুঘরের বৃত্তাকার অংশটির সবুজ পরিবেশ, আমাদের জাতীয় পতাকার রেফারেন্সে ডিজাইন করা। বৃত্তাকার স্পেসটির ভিতরের স্থানগুলি একটি পোস্ট-লিন্টেল কাঠামোর মধ্যে র্যাম্পের সাথে যুক্ত।
বাঁকানো/ঢেউ খেলানো ফর্মটি আমাদের স্বাধীনতার পরিচয় বহন করে। এটি ফেয়ার-ফেসড কংক্রিট ব্লক দিয়ে ডিজাইন করা হয়েছে। বৃত্তাকার স্পেসটির চারপাশে একটি জলাশয় রয়েছে। জলাশয়ের চারপাশে একটি বৃত্তাকার সবুজ মাঠ রয়েছে।
ভবনের প্রাঙ্গণে প্রবেশের পর, আকর্ষণীয় সেন্ট্রাল প্লাজাটি দর্শনার্থীদের নজর কাড়ে। বৃত্তাকার সবুজ কোর্টের সাথে মূল ভবনটি সংযুক্ত। সামনের দিকের প্রশস্ত কোর্ট, প্রতিটি ফ্লোরের উচ্চতার বৈচিত্র্য এবং যেকোনো দিক হতে জাদুঘরটির মনোরম দৃশ্য একে সম্ভবত বাংলাদেশের সেরা জাদুঘরগুলির মধ্যে একটি করে তুলেছে।
মুক্তিযুদ্ধের সময় সামরিক বাহিনীর অবদানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে ঐতিহাসিক স্মৃতিস্তম্ভগুলির প্রদর্শনীর জন্য ভিক্টোরি অ্যারেনা প্রদর্শনী স্থানটি ৬০ ফুট উঁচু কাচের গম্বুজের ভেতর অবস্থিত। বিজয় কেতন জাদুঘরটি মূল ব্লকের ১,৭৫,০০০ বর্গফুটেরও বেশি আয়তনের ভেতরে স্থানান্তরিত করা হয়েছে যেখানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সামরিক ইতিহাস, কৌশল এবং অস্ত্রশস্ত্র প্রদর্শনের জন্য ৩০টি গ্যালারি রয়েছে। দক্ষিণ পার্শ্বে জাদুঘরের প্রশাসনিক অংশ। আরেকটি প্রদর্শনী স্থান হল তোশাখানা, যা রাষ্ট্রীয় উপহার গ্যালারি যার পাশে বঙ্গবন্ধু এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কৃতিত্বের চিত্রকর্ম রয়েছে। |
বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘরের সবচেয়ে আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্য হল জিওডেসিক গম্বুজ - যা কেন্দ্রে ১২০ ফুট ব্যাস বিশিষ্ট। গম্বুজটি দেখতে একটি সম্পূর্ণ গোলকের মতো এবং এটি সামনের দিকে স্থাপিত কৃত্রিম জলাশয়ের উপর প্রতিফলিত হয়।
কম নির্গমনশীল কাচ দিয়ে তৈরি এই গম্বুজটি দিনের বেলায় জাদুঘরের ভেতরে প্রচুর প্রাকৃতিক আলো প্রবেশের সুযোগ করে দেয়, যা জাদুঘরটিকে একটি সুষম আলোকসজ্জা প্রদান করে। তাছাড়া, এই উপাদানটি গম্বুজটিকে অতিরিক্ত গরম হওয়া থেকেও রক্ষা করে। জাদুঘরের সবচেয়ে ভালো অংশ হলো সর্পিল প্যাটার্নে প্রদর্শন করা যায় যাতে একই বিন্দু থেকে সমস্ত উপাদান একসাথে দেখা যায়। এছাড়াও, জাদুঘরের সামনের দৃশ্য অক্ষত রাখার জন্য স্থপতিরা কোনো গতানুগতিক সীমানা-প্রাচীর নির্মাণ করেনি। |
নির্মাণকাজে ব্যবহৃত উপাদান: এ প্রকল্পে, কংক্রিটকে প্রাথমিক উপাদান হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। ইটকে আরেকটি উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। এক্সিস্টিং সার্ভিস বিল্ডিংয়ের বাইরের সম্মুখভাগের জন্য স্টিলের ফ্রেম এবং অ্যালুমিনিয়াম কম্পোজিট প্যানেল (ACP) স্ক্রীন হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। স্থানিক স্পষ্টতা: •সর্পিলাকার চলাচল ব্যবস্থা: কমপ্লেক্সের ভেতরের একটানা র্যাম্পটি ব্যবহার করে দর্শনার্থীরা পুরো জায়গাটি ঘুরে দেখেন। টানা র্যাম্পটি পুরো জায়গাটিকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে। •প্রচলিত উপায়ে সীমানা প্রাচীর তৈরি করার পরিবর্তে এ প্রকল্পে সাইটের ভৌগলিক নিম্নচাপ ব্যবহার করে, নিরাপত্তা নিশ্চিত করার সাথে সাথে একটি ওয়েলকামিং পরিবেশ নিশ্চিত করে। •স্থানের ক্রমবিন্যাস: ভিক্টোরি অ্যারেনা এবং তোশাখানা গ্যালারিসহ গুরুত্বূর্ণ প্রদর্শনীর জায়গাগুলোর জন্য এমন স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে, যাতে করে দর্শনার্থীরা একটি সাজানো গল্পের মতো করে পুরো জায়গাটি ঘুরে দেখতে পারেন। |
•একটি হাইব্রিড সাংস্কৃতিক কর্মসূচি: জাদুঘরটির আর্ট গ্যালারি, অ্যাম্ফিথিয়েটার এবং পাবলিক ক্যাফের মতো সুবিধাগুলো দর্শনার্থীদের আকৃষ্ট করে এবং পুরো বছর জুড়েই দর্শনার্থীদের একটি নির্দিষ্ট সংখ্যা এখানে ঘুরতে আসে। •ইন্টারেকটিভ প্রযুক্তিসম্পন্ন প্রদর্শনী: ঐতিহাসিক ঘটনাগুলিকে ডিজিটাল প্রদর্শনীগুলোতে তুলে ধরা হয়। •প্রগতিশীল চিন্তাধারা: হেলিকয়েডাল ডিসপ্লেটি দর্শনার্থীদের জন্য একটি আকর্ষণীয় জায়গা। •পটভূমির ক্রমাগত পরিবর্তন: জাদুঘরের অভ্যন্তরে, ক্রমাগত পটভূমির দৃশ্য গুলো পরিবর্তিত হতে থাকে, যা পুরো জাদুঘরটি ঘুরে দেখার জন্য দর্শনার্থীদের উৎসাহ যোগায়। |
সংস্কৃতি, পরিবেশ এবং স্মৃতির মিলন মেলা: বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে, বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘর দেশের অন্যান্য জাদুঘরগুলোর জন্য একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। আলো, পানি, বায়ু এবং ল্যান্ডস্কেপ - ডিজাইনের এ মৌলিক উপাদানগুলোর যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে জাদুঘরটি একটি নতুন অভিজ্ঞতা তৈরি করে দর্শনার্থীদের মাঝে। দেশীয় স্থাপত্যের একটি অনন্য উদাহরণ, ঐতিহাসিক চেতনা ও সামাজিকতা গড়ে উঠবার একটি আদর্শ প্রকল্প এটি। |
প্রতিবেদক: স্থপতি ফাইজা ফাইরুজ |