|
প্রকল্পের নাম: অভিযোজনমূলক পুনঃব্যবহারের মাধ্যমে ভাওয়াল রাজবাড়ির সংরক্ষণ, গাজীপুর। শিক্ষার্থীর নাম: মোঃ ফেরদৌস রহমান সুপারভাইজার: স্থপতি ড. মো. মুস্তাফিজুর রহমান বিভাগীয় প্রধান: স্থপতি ইফতেখার রহমান বিশ্ববিদ্যালয়: শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় |
|
ধারণা তৈরি: ভাওয়াল রাজবাড়ির সংরক্ষণ ও পুনঃব্যবহার প্রকল্পটি "স্মৃতির পুনর্জন্ম" ধারণার উপর ভিত্তি করে তৈরি। এটি ঐতিহাসিক গবেষণা, স্থানীয় জনগণের অংশগ্রহণ এবং সাংস্কৃতিক সংবেদনশীলতাকে একত্রিত করে একটি অর্থবহ স্থাপত্যিক হস্তক্ষেপ গঠনের চেষ্টা করে। স্থানীয় সাক্ষাৎকার ও জরিপ থেকে প্রাপ্ত তথ্য ডিজাইনের প্রতিটি ধাপে - সাইট বিশ্লেষণ, পুনঃব্যবহারের কৌশল, স্মৃতি ও পরিচয় অন্বেষণ, এবং সম্প্রদায়ের চাহিদা বোঝার ক্ষেত্রে - গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। অংশগ্রহণমূলক ডিজাইনের মাধ্যমে এই প্রকল্পটি স্থানীয়দেরকে তাদের ঐতিহ্যের সাথে পুনরায় সংযুক্ত করতে চায়, যাতে ভাওয়াল রাজবাড়ি অতীতের স্মৃতি সংরক্ষণ করার পাশাপাশি সমকালীন প্রয়োজন পূরণেও কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। |
|
ডিজাইনের ধারণা: এই প্রকল্পের লক্ষ্য ভাওয়াল রাজবাড়ির হারিয়ে যাওয়া গৌরব ফিরিয়ে আনা-রাজা রমেন্দ্র নারায়ণ এবং বিখ্যাত ভাওয়াল কেসের ঐতিহাসিক গল্পকে নতুন আঙ্গিকে উপস্থাপন করা। প্রতিকারমূলক পুনঃব্যবহার কৌশল প্রয়োগ করে পুরনো স্থাপত্যের সৌন্দর্য সংরক্ষণ ও পূর্বের ভুল ব্যবহারের সংশোধন করা হয়েছে। মিউজিয়াম, হেরিটেজ স্টে ও কনজারভেশন সেন্টারের মতো প্রোগ্রাম রাজবাড়িতে নতুন প্রাণ সঞ্চার করে। চরিত্র ও ঘটনার সময়গত প্রেক্ষাপটকে স্থাপত্য গল্প বলার মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে। স্থানীয় উপকরণ ও জনসম্পৃক্ততার মাধ্যমে এই প্রকল্পটি ভাওয়াল জমিদারির সাংস্কৃতিক পরিচয়কে নতুনভাবে জীবন্ত করে তোলে। |
|
"স্মৃতির পুনর্জন্ম": পুরাতন কাঠামো সংরক্ষণ: পুরাতন কাঠামোর যথাযথ ডকুমেন্টেশন বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে করা। এই প্রক্রিয়ায় সম্মুখভাগ সংরক্ষণ, মোটিফ স্থাপন, প্রবেশযোগ্যতার বিষয়টি বিবেচনা করা। প্রতিকারমূলক পদ্ধতি: প্রতিকারমূলক নির্মাণ কাজ বলতে ত্রুটিযুক্ত ভবনগুলির জন্য বিশেষ ধরণের সংশোধন এবং সংশোধনমূলক পদক্ষেপগুলিকে বোঝায়, বিশেষ করে উল্লেখযোগ্য কাঠামোগত এবং/অথবা জল প্রবেশের সমস্যাগুলির সাথে জড়িত। চারিত্রিক ক্ষণস্থায়ীতা: ক্ষণস্থায়ীতা বলতে অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যতের রৈখিক অগ্রগতির ধারণাকে বোঝায়। তবে, রৈখিক সময়ের সাধারণ ধারণাগুলির সমালোচনার প্রেক্ষাপটে এই শব্দটি প্রায়শই ব্যবহৃত হয়। পুরাতন ধরণ থেকেই এ প্রকল্পে সমসাময়িক স্থাপত্য প্রভাবিত হয়েছে। |
|
রাজবাড়ি প্রাঙ্গণের প্রোগ্রামসমূহ |
|
|
|
গ্রাউন্ড ফ্লোর প্ল্যান এবং ফার্স্ট ফ্লোর প্ল্যান |
|
এই গবেষণাটি স্থাপত্য ঐতিহ্য সংরক্ষণের জন্য একটি টেকসই কৌশল হিসেবে গাজীপুরের জয়দেবপুরে ভাওয়াল রাজবাড়ি (ভাওয়াল জমিদার প্রাসাদ) এর অভিযোজিত পুনঃব্যবহারের উপর আলোকপাত করে। একসময় জমিদারি যুগের প্রতীক হিসেবে শক্তিশালী ইউরোপীয় প্রভাবের কারণে, প্রাসাদটি এখন নগর বৃদ্ধি এবং আর্থ-সামাজিক পরিবর্তনের কারণে অবহেলা এবং কার্যকরী পরিবর্তনের শিকার। |
|
|
|
|
এই গবেষণায় বর্তমান সংরক্ষণ পদ্ধতি বিশ্লেষণ করা হয়েছে এবং স্থানের ডকুমেন্টেশন, ঐতিহাসিক গবেষণা এবং নীতি বিশ্লেষণের মাধ্যমে একটি ব্যাপক অভিযোজিত পুনঃব্যবহার কাঠামো প্রস্তাব করা হয়েছে। এটি সাংস্কৃতিক পর্যটন এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি স্থানীয় সম্প্রদায়ের সাথে কাঠামো পুনঃসংযোগের উপর জোর দেয়। অভিযোজিত পুনঃব্যবহারকে একটি ব্যবহারিক এবং টেকসই সংরক্ষণ পদ্ধতি হিসেবে তুলে ধরে, গবেষণাটি দ্রুত নগরায়নের প্রেক্ষাপটে ঐতিহ্য সংরক্ষণের উপর বিস্তৃত আলোচনায় অবদান রাখে। |
|
|
অন্যান্য প্রকাশনা: ▪ ‘শোকেস’ ম্যাগাজিনে প্রকাশিত। ▪ ‘KSRM award for future architects’ এবং ‘BSRM: where to go?’ Thesis award-এর জন্য মনোনীত। |
|
| প্রতিবেদক: স্থপতি ফাইজা ফাইরুজ |