গম্বুজগুলি চার দেওয়াল তলদেশ হলো বৃত্তাকার আর খিলান দিয়ে গঠিত স্থানটি হল বর্গাকৃত। এই বর্গাকৃত স্থানকে বৃত্তে রূপান্তরিত করার জন্য বাংলার স্থপতিরা এ বিশেষ ধরানের পেনটেনটিভ ব্যবহার করে। যা বাংলার স্থাপত্যে একটি নতুন সংযোজন। ইট দিয়ে হিন্দু স্থাপত্যের করবেলিং এবং মুসলিম স্থাপত্যের পদ্ধতির সংমিশ্রন এই বাঙ্গালী পেনডেনটিভ এর সুচনা হয়। পেনডেনটিভ দ্বারা গঠিত বৃত্তাকার স্থানের উপর ইট দ্বারা তৈরী হয় সৃষ্টি অর্ধবৃত্তাকার গম্বুজ যার পুরুত্বের কোন পরিবর্তন নাই।
ছাদ হতে বৃষ্টির পানি সহজে ও দ্রুত নিষ্কাষণ করার লক্ষকে সামনে রেখে বাংলার স্থপতির এক নতুন ধরনের স্থাপত্যের বিকাশ ঘটায় যা বাঙ্গালীর স্থাপত্য বলে সারা বিশ্বে সমাদৃত। বাংলার এ সৃষ্টি কুড়ে ঘরের আদলে নির্মিত হয় স্থায়ী স্থাপত্যের বক্রাকৃতি কর্নিশ। ছাদে জমাকৃত পানি বক্রাকৃতির কারণে সহজেই উত্তর ও দক্ষিণ পাশে অবস্থিত ছয়টি SPOUT দ্বারা নিষ্কাশিত হয়। মসজিদ স্থাপত্যেই নয় বরং সারা ভারতের হিন্দু, মুঘল ও ঔপনিবেশিক স্থাপত্যেও এর প্রভাব পরিলক্ষিত হয়।