|
ঢাকার ‘হাতিরঝিল ইন্টিগ্রেটেড ডেভেলপমেন্ট’ প্রকল্প, রাজধানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (RAJUK) একটি আরবান ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট, যেটি ডিজাইন করেছে ‘ভিত্তি স্থপতি বৃন্দ লিমিটেড’। ২০২৫ সালের ‘এশিয়ান টাউনস্কেপ অ্যাওয়ার্ড’ (ATA)-এর “লেক ও লেকসাইড এলাকা উন্নয়ন” বিভাগে এ প্রকল্পটি বিজয়ী হয়েছে। |
|
|
এ আন্তর্জাতিক অ্যাওয়ার্ডের অফিসিয়াল অনুষ্ঠানটি ২৭ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে CIC–জিরো কার্বন পার্ক, হংকং-এ অনুষ্ঠিত হয়। এশিয়ান টাউনস্কেপ অ্যাওয়ার্ডগুলি যৌথভাবে UN-HABITAT, Asian Habitat Society (AHS), Fukuoka Asian Urban Research Center (URC), এবং Asia Townscape Design Society (ATDeS) দ্বারা প্রদান করা হয়। এই বছর এশিয়ার ৭২টি প্রকল্পের মধ্যে থেকে ৭টি দেশের ১১টি প্রকল্প নির্বাচিত হয়েছে। |
|
|
দূষিত জলাধার পুনরুদ্ধারে ঢাকার একটি বিরল নগর-সাফল্য হিসেবে এ প্রকল্পটি স্বীকৃতি পেয়েছে। ৩১১ একর জায়গাজুড়ে বিস্তৃত এই প্রকল্পটি এক সময়ের অকার্যকর খালকে বদলে দিয়েছে একটি রিটেনশন বেসিনে (জলাধার)। জনসাধারণের জন্য জায়গাটিতে সেতু, হাঁটার পথ তৈরি করা হয়েছে। এর ফলে চলাচল সহজ হয়েছে, জলাবদ্ধতা নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয়েছে এবং পরিবেশগত ভারসাম্যও উন্নত হয়েছে। ঢাকার ঐতিহ্য ও জলাধার রক্ষায় এমন পানি-নির্ভর প্রকল্প আরও বেশি করা এবং নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ করা খুবই জরুরি। ঢাকা শহরে যেখানে নতুন নির্মাণ প্রায়ই অব্যবস্থাপনার সাথে করা হয়, সেখানে হাতিরঝিলকে একটি বিরল প্রকল্প বলা যায়, যা এ শহরের মানুষের জীবন, চলাচল ও পরিবেশ বদলে দিয়েছে। পুনর্নির্মাণের আগে হাতিরঝিল ছিল একটি পরিবেশগত উদ্বেগের কারণ, যেমন - কালো পানি, দখল করা জলাধার এবং অপরিশোধিত বর্জ্য ইত্যাদি। বর্তমানে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও, এ প্রকল্পের মাধ্যমে বোঝা যায়, অকার্যকর শহুরে জলাধারকে সুসংগঠিত ডিজাইনের মাধ্যমে পুনরুদ্ধার করা সম্ভব। |
|
আন্তর্জাতিক মঞ্চে বাংলাদেশের প্রকল্পকে বিজয়ী করে তোলার জন্য ‘ভিত্তি স্থপতি বৃন্দ লিমিটেড’-এর সকল সদস্যকে ‘স্থাপত্য ও নির্মাণ’-এর পক্ষ থেকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
|
| প্রতিবেদক: স্থপতি ফাইজা ফাইরুজ |