‘সার্পেন্টাইন’ একটি প্রদর্শনী স্থান, যা লন্ডনের কেনসিংটন গার্ডেনে অবস্থিত। কেনসিংটন গার্ডেনের দুটি স্থানে ‘সার্পেন্টাইন’, সমসাময়িক শিল্প, সংস্কৃতি প্রদর্শন করে। সার্পেন্টাইন সাউথ এবং সার্পেন্টাইন নর্থ, সার্পেন্টাইন ব্রিজের উভয় পাশে অল্প দূরত্বে অবস্থিত। দুটি স্থানেই বছরে তিনটি প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। প্রদর্শনীতে শিল্প, স্থাপত্য, পারফর্মেন্স এবং কমিউনিটির বিভিন্ন প্রকল্প প্রদর্শিত হয়। প্রতি বছর, একজন ভিন্ন স্থপতি একটি নতুন প্যাভিলিয়ন তৈরি করে। পুরো গ্রীষ্মকাল জুড়ে এ প্যাভিলিয়নটি লাইভ ইভেন্টগুলোর জন্য একটি ক্যাফে, মিলনস্থল এবং স্থান হিসেবে কাজ করে। |
|
বাংলাদেশি স্থপতি মেরিনা তাবাসসুম লন্ডনে এই বছরের সার্পেন্টাইন প্যাভিলিয়নের নকশা উন্মোচন করেছেন, যা প্যাভিলিয়নটির ২৫তম বার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হবে। প্যাভিলিয়নটিকে 'এ ক্যাপসুল ইন টাইম' নামকরণ করা হয়েছে। সার্পেন্টাইন গ্যালারির বাইরে হালকা কাঠের এই কাঠামোটি অস্থায়ী প্যাভিলিয়নের বৈশিষ্ট্য নির্দেশ করে। |
স্থপতি মেরিনা তাবাসসুম বলেন, "আমাদের নকশা তৈরির সময়, আমরা প্যাভিলিয়নের ক্ষণস্থায়ী প্রকৃতির উপর আলোকপাত করেছি, যা আমাদের কাছে সময় এবং স্মৃতির ক্যাপসুল হিসাবে মনে হয়। সময় এবং স্থাপত্যের মধ্যকার সম্পর্ক বেশ আকর্ষণীয়। স্থায়ীত্ব এবং অস্থায়ীত্বের মাঝে, জন্ম, বয়স এবং ধ্বংসের মাঝে; স্থাপত্য সময়কে অতিক্রম করতে চায়।" স্থপতি আরও বলেন, "বেঙ্গল ডেল্টায় স্থাপত্য ক্ষণস্থায়ী, কারণ নদীগুলির গতিপথ পরিবর্তনের সাথে সাথে বাসস্থানগুলির স্থান পরিবর্তন করতে হয়। স্থাপত্য গল্পের মধ্য দিয়ে অব্যাহত বসবাসের স্থানগুলির স্মৃতিতে পরিণত হয়।" |
|
Serpentine Galleries |
"এ ক্যাপসুল ইন টাইম" চারটি আর্চযুক্ত মডিউল নিয়ে গঠিত হবে, যার কাঠের কাঠামোটি স্বচ্ছ প্যানেল দিয়ে ঢাকা থাকবে। মডিউলগুলি একে অপরের থেকে আলাদা থাকবে এবং মাঝে একটি গাছ দিয়ে একটি উঠোন তৈরি করা হবে, যা গ্যালারির বেল টাওয়ারের সাথে সারিবদ্ধ থাকবে। স্থপতির মতে, প্যাভিলিয়নের একটি অংশকে সহজেই স্থানান্তরিত করা যাবে, যেন প্যাভিলিয়নটিকে অন্য একটি আকৃতিতে রুপান্তরিত করা যায়। একটি জ্যামিতিক আকৃতি – অর্ধ-ক্যাপসুল, যেটি আধা-স্বচ্ছ, হালকা ম্যাটেরিয়াল দ্বারা তৈরি, তার ভেতর এমনভাবে প্রাকৃতিক আলো প্রবেশ করবে, যা মূলত বাঙালি বিয়েবাড়ির শামিয়ানার মতো মনে হবে। |
প্রতিবেদক: স্থপতি ফাইজা ফাইরুজ |