বাইত-উর-রাইয়ান মসজিদ |
‘কিউব-ইন-সাইড’ আর্কিটেকচারাল কনসালটেন্ট-এর ডিজাইন করা ‘বাইত-উর-রাইয়ান’ মসজিদটি ‘ডিএনএ প্যারিস ডিজাইন এওয়ার্ড ২০২৫’- এর ‘পাবলিক আর্কিটেকচার’ ক্যাটাগরিতে স্থান পেয়েছে। বাংলাদেশের স্থাপত্য জগতে এটি নিঃসন্দেহে একটি গৌরবের বিষয়।
‘বাইত-উর-রাইয়ান’ মসজিদটির প্রধান ডিজাইনাররা হলেন, স্থপতি খন্দকার আসিফুজ্জামান, স্থপতি সাখাওয়াত হোসেইন রকি। ডিজাইন টিমের সদস্য ছিলেন স্থপতি মেহরি ফার্নাজ, স্থপতি আনিস খান শান্ত, স্থপতি আবদুল্লাহ আল যাবের। |
ডিএনএ প্যারিস ডিজাইন এওয়ার্ড ২০২৫ |
‘বাইত-উর-রাইয়ান’ হলো একটি ছোট আকারের মসজিদ, যা মূলত আড়িয়াল খা নদীর তীরে একটি সাধারণ গ্রামীণ স্থানে অবস্থিত। এই মসজিদটি ‘মানব-কেন্দ্রিক নকশা’ (Human-centric design) হিসেবে সেখানকার কমিউনিটির জন্য স্থানীয় উপকরণসমূহ ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে। |
পাখির চোখে বাইত-উর-রাইয়ান মসজিদ |
বাইত-উর-রাইয়ান মসজিদের ভেতরের চিত্র
জ্যামিতিক প্যাটার্নের মাধ্যমে প্রতীকী চিত্র তুলে ধরা ইসলামী শিল্প ও স্থাপত্যের একটি অপরিহার্য বৈশিষ্ট্য। ইসলাম যেকোনো ধরণের আক্ষরিক উপস্থাপনার পরিবর্তে প্রতীকী বা ইঙ্গিতপূর্ণ পরামর্শ দেয়। এ কারনে, মসজিদ ডিজাইনে জ্যামিতিক প্যাটার্নসমূহ একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই বিশেষ মসজিদটিতে, মসজিদ তৈরির ট্রেডিশনাল প্রতীকী উপাদান, যেমন – ডোম, মিনার, আর্চ ইত্যাদির মাধ্যমে ডিজাইনাররা ‘মসজিদ আর্কিটেকচার’-এর কনসেপ্ট, ‘Abstract Semiotics’ (চিহ্ন এবং প্রতীকের মাধ্যমে নির্দিষ্ট অর্থ প্রকাশ করা) অনুশীলন করার সুযোগ পান। |
একতলা সমান উঁচু, আয়তাকার আকৃতির মসজিদটি ‘স্থিতিশীলতা’র পরিচয় দেয়। বাংলাদেশের মসজিদগুলোর পুরনো ঐতিহ্য অনুযায়ী এ মসজিদে লাল ইট এবং পাথর ব্যবহার করা হয়েছে। গাঢ় লাল ইট চারপাশের সবুজ রঙের সাথে একটি মৃদু বৈপরীত্য নিয়ে আসে। রন্ধ্রযুক্ত মার্বেলের তৈরি মেঝে গ্রীষ্মের তীব্র তাপদাহের মধ্যেও ঠাণ্ডা থাকে।
উত্তর এবং দক্ষিণ দিকের ফাঁকা জায়গা হতে সরাসরি প্রবেশকৃত আলো ছাড়াও কিছু পরোক্ষ আলো দেয়াল এবং গম্বুজের একপ্রান্ত হতে অপরপ্রান্ত ভেদ করে, যা মসজিদের আধ্যাত্মিকতা বৃদ্ধি করে। |
প্রতিবেদক: স্থপতি ফাইজা ফাইরুজ |