গত্ ৮ই ডিসেম্বর, ২০২৩, শুক্রবারে এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন টম মিসিওসা, (পরিচালক) ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশ; ডেভিড নক্স, (প্রোগ্রাম পরিচালক), ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশ; ফ্রান্সোয়া গ্রোগ্যে, (পরিচালক) আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দ্য ঢাকা, ফ্র্যাঙ্ক ওয়ার্নার, (পরিচালক) গ্যোটে ইন্সটিউট বাংলাদেশ; এবং ব্রেন্ড স্প্যানিয়ার, (ডেপুটি হেড) ইউ ডেলিগেশন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বৃহত্ত্ব আর্ট ফাউন্ডেশনের দুই সহ প্রতিস্থাতা; বিশ্বজিৎ গোস্বামী ও নুসরাত মাহমুদ।
|
“গঙ্গাবুড়ি” শীর্ষক এই প্রদর্শনীর আয়োজক হিসেবে বৃহত্ত্ব আর্ট ফাউন্ডেশন বুড়িগঙ্গা নদীর অত্যন্ত সমৃদ্ধশালী পরম্পরাকে সুচারুতার সাথে সমসাময়িক শিল্পচর্চার ধারার মোড়কে তুলে ধরছে। চিরচেনা এ নদীর পরম্পরাকে উদ্দীপ্ত করে তাকে বুকে আগলে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবার প্রত্যয়ের অঙ্গীকারনামা হিসেবে এই প্রদর্শনী চলছে হাজারীবাগ এলাকায়। শেহজাদ শাহরিয়ার চৌধুরীর সঞ্চালনায় সাতজন প্রসিদ্ধ বাংলাদেশি শিল্পীর কাজ তুলে ধরা হয়েছে এই প্রদর্শনীতে। আমিনুল ইসলাম আশিক, অনন্যা মেহপার আজাদ, আহমেদ রাসেল, কাজী সাইদুল করিম টুসু, মোঃ খায়রুল আলম (সাদা), নুর এ আলা সিদ্দিকী এবং শামীম আহমেদ চৌধুরীদের কাজের ব্যাপ্তি বিশাল। ভাস্কর্য থেকে ইন্সটলেশন হয়ে রঙ্গীন চিত্রাংকনসহ বিভিন্ন মাধ্যমের মনমাতানো বিন্যাসে তারা তুলে ধরেছেন পানির সাথে মানবজীবনের অবিচ্ছেদ্য সম্পর্কের গল্প, কালের আবহে ভাসা বুড়িগঙ্গা নদীর বর্তমান এই হালের ঘটনাচক্র। |
বুড়িগঙ্গাকেন্দ্রিক বিশুদ্ধ আবেগে গাঁথা গল্পের ভান্ডাড় আর কফিল আহমেদের গাওয়া “গঙ্গাবুড়ি “ গানের অনুপ্রেরণায় গড়া এই প্রদর্শনী মূলত সহজাত সকল পরম্পরার সাথে ক্রমবিকাশমান শৈল্পিক সত্তার বহিঃপ্রকাশের অন্তর্নিহিত এক দলিল। এখানে তুলে ধরা হয়েছে প্রাণের সাথে পানির গভীর সম্পর্কের কথা, বলা হয়েছে সভ্যতার অগ্রযাত্রায় নদীর ভূমিকার গল্প, গাওয়া হয়েছে গনমানুষের মননে পরিবেশগত সচেতনতা তৈরি এবং চর্চার ক্ষেত্রে শিল্পের শক্তির জয়গান। |
জীবনধারণকারী সব নদীপথের প্রতি আমাদের উদাসীন মনোভাবের পরিবর্তন ঘটানোর লক্ষে্ গঙ্গাবুড়ি প্রোজেক্টের সাথে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে ইউরোপিয়ান ন্যাশনাল ইন্সটিউট ফর কালচার (ইউনিক)। এছাড়াও একাত্মতা প্রকাশ করেছে আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দ্য ঢাকা, ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশ, গ্যোটে ইন্সটিউট বাংলাদেশ, ইইউ ডেলিগেশন ইন বাংলাদেশ, বাংলাদেশে অবস্থিত নেদারল্যান্ডের দূতাবাস এবং বাংলাদেশে অবস্থিত স্প্যানিশ দূতাবাস এর মত সংস্থা। বুড়িগঙ্গা নদীর ইতিহাস, বিদ্যমান সব প্রতিবন্ধকতা এবং এর পূনর্জাগরনের আশাজাগানীয়া সব ডাকের আমন্ত্রন রয়েছে এই প্রদর্শনীতে। কিভাবে শিল্প এবং শিল্পসত্তার সুচারু ব্যবহারে দূষণের ভারে জর্জরিত এক পরিবেশকে পূনর্জাগরন আর অমূল্য সব অনুপ্রেরনার উৎসে রুপান্তর করা যায়, তা এই প্রদর্শনী হতে জানা যাবে। |
সময়সূচী : ৮ই ডিসেম্বর, ২০২৩-৩১শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত (বৃহস্পতিবার বাদে প্রতিদিন) স্থান : বৃহত্ত্ব আর্ট ফাউন্ডেশন, মুক্তি ট্যানারি-বিল্ডিং ১ এর ছাদে গজমহল স্কুলের বিপরীতে হাজারিবাগ, ঢাকা-১২০৯ |