নাগাসাকি পিস পার্ক হলো জাপানের নাগাসাকিতে অবস্থিত একটি পার্ক, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ১৯৪৫ সালে পারমাণবিক বোমা হামলার স্মৃতিতে নির্মিত হয়েছিল। এটি নাগাসাকি শহরে পারমাণবিক বোমা জাদুঘরের পাশে এবং পিস মেমোরিয়াল হলের কাছে অবস্থিত। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে শান্তি ও সাম্যের বার্তা বহনকারী ভাস্কর্য স্থাপনের জন্য নাগাসাকি পিস পার্কে জায়গা সংরক্ষিত আছে। বাংলাদেশের জন্য নির্দিষ্ট স্থানে ভাস্কর্যটি বিগত ২৮ মে, ২০২৪ তারিখ, মঙ্গলবার উন্মোচন করা হয়। বাংলাদেশি স্থপতি অনিন্দ্য পণ্ডিতের ডিজাইন করা ভাস্কর্যটির নাম 'ওরে বিহঙ্গ মোর'। অনিন্দ্য পণ্ডিত স্টুডিও ভারমাইনের একজন স্থপতি এবং আহসানুল্লাহ ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (AUST) সহকারী অধ্যাপক। ১৯৪৫ সালে নাগাসাকি এবং হিরোশিমা বোমা হামলার কারণে প্রাণ হারিয়েছেন এমন লোকদের স্মরণে একটি শোক ব্যাজের আকারে ভাস্কর্যটি নকশা করা হয়েছে। |
|
তিন মিটার উচ্চতার স্মৃতিস্তম্ভটি কালো গ্রানাইট এবং সাদা মার্বেল পাথর দিয়ে তৈরি। একটি সাদা পাখি ভাস্কর্যের উপরের কোণে বসে আছে, যা নাগাসাকি পার্কের শান্তিপূর্ণ এবং যুদ্ধবিরোধী মনোভাবের প্রতীক। স্থপতি অনিন্দ্য পণ্ডিত বলেন, "নাগাসাকি পিস পার্কে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে একটি ভাস্কর্য স্থাপনের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য ২০১৫ সালে নকশা প্রতিযোগিতার আহ্বান করে স্থাপত্য অধিদপ্তর। এতে দেশের ৬২ শিল্পী ও স্থপতি তাঁদের প্রস্তাবিত নকশা জমা দেন। সেখান থেকে অনিন্দ্য পন্ডিতের নকশাটি বেছে নেন বিচারকমণ্ডলী।" তিনি আরও বলেন, "বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে সবসময়ই একটি ভালো সম্পর্ক বিরাজ করে আসছে। এই ভাস্কর্যটির কাঠামোর মাধ্যমে বাংলাদেশ একটি আন্তর্জাতিক ঐতিহাসিক ঘটনাকে স্মরণ করছে - এই বার্তাটি প্রতিফলিত হয়। |
ছবি : জাপানের নাগাসাকি পিস পার্কে স্থাপিত বাংলাদেশের ভাস্কর্য 'ওরে বিহঙ্গ মোর' - এর সামনে অতিথিরা |
মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন, মন্ত্রী আর এ এম ওবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, সম্পাদক মোহাম্মদ নবীরুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব মোঃ হামিদুর রহমান খান। এছাড়াও, নাগাসাকি পিস পার্কের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। নাগাসাকিতে পিস পার্কে বিশ্বের ১৫টি দেশ তাদের ভাস্কর্য স্থাপন করেছে বলে জানান অনিন্দ্য পন্ডিত। বাংলাদেশের জন্য প্রস্তাবিত স্থানের ডানে ইতালি ও বাঁয়ে পোল্যান্ডের ভাস্কর্য স্থাপিত হয়েছে। |
সম্পাদনায় : স্থপতি ফাইজা ফাইরুজ |