প্রকল্পের শিরোনাম: নীলকুঠি: অনুচ্চারিত দুর্দশা
স্থান: মেহেরপুর, বাংলাদেশ
শিক্ষার্থীর নাম: মোহাম্মদ ওবাইদুল্লাহ
প্রকল্পের নাম: নীলকুঠি: অনুচ্চারিত দুর্দশা স্থান: মেহেরপুর, বাংলাদেশ শিক্ষার্থীর নাম: মোহাম্মদ ওবাইদুল্লাহ প্রকল্পের বছর: ২০২৩ স্টুডিও সুপারভাইজার: স্থপতি জিয়াউল ইসলাম ও স্থপতি এস. এম. রুম্মান মাশরুর চৌধুরী বিভাগীয় প্রধান নাম: ডঃ নওরোজ ফাতেমি বিশ্ববিদ্যালয়: ইউনিভার্সিটি অফ এশিয়া প্যাসিফিক |
একদা এক সময় একটি সবুজ শ্যামলে ভরা নদীমাতৃক দেশ ছিলো। যেখানে মানুষ ফসল ফলাতো, চাষ করতো, নিজেদের স্বাধীন জীবন উপভোগ করতো। কৃষকরা তাদের সোনালী ফসল চাষ করতো বাধাহীন ভাবে। ঘরের মা-মেয়েরা আঙ্গিনায় নিজেদের তোলে আনা ফসল প্রক্রিয়াজাত করে খাবার উপযোগী করে তৈরি করতো। বাচ্চারা উঠানে খেলাধূলা করতো, একটু সাবলাম্বী স্তরের পরিবার তাদের সন্তানদের পড়াশুনা করাতো। নিজেদের ফসলের আয় থেকে জমিদারদের খাজনা প্রদান করতো। তখন জমিদার শ্রেণি কৃষকদের কাছ থেকে খাজনা আদায় করা সত্ত্বেও তারা প্রজাদের দুঃখে নিজেকে শামিল করতো, তাদের পাশে দাড়াতো। অভাব অনঠনে, খরাতে জমিদারর এগিয়ে আসতো প্রজাদের সাহায্যার্তে। এভাবেই চলছিলো গ্রাম বাংলার জীবন। একদিন এই সোনার বাংলায় কালো নজর এর ছোয়া লাগা শুরু হলো। বিশ্বাসঘাতক মীর জাফর, ঘষেটী বেগম এবং সৈন্যরা সেই কালো থাবা বৃটিশদের সাথে হাত মিলিয়ে সিরাজউদ্দৌলাকে ক্ষমতাচ্যুত করলো। অতঃপর বৃটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী সোনার বাংলায় তাদের আধিপত্য শুরু করলো। তারই পরে এই বঙ্গদেশে আগমণ ঘটলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেকে ঘুটিয়ে আসা নীলকরদের কারবার। তাদের নীলের প্রবাহ এই বাংলায় গেড়ে বসলো। শুরু হলো নীলকরদের অত্যাচার, নিপীড়ন, কৃষকদের ন্যায্যা কেড়ে নেও্যা। শুরু হলো কৃষকদের দুর্দশা। বঙ্গদেশের সোনালী ফসল ফলানো কৃষকরা হয়ে পড়লো দিশেহারা। তাদের জমির রাজা বনে গেলো এইসব নীলকরেরা। যখন নীলকরেরা জিমিদার ক্রয় করার অনুমতি পেয়ে গেলো তখন শুরু হলো তাদের রাজত্ব। কৃষকরা ধীরে ধীরে তাদের তাদের স্বাধীনতা হারাতে শুরু করলো। কৃষকরা চাইলেও আর নিজেদের জমিতে ফস্ল আবাদ করতে পারতো না, নীলকরেরা এসে খুটি গেড়ে দিয়ে যেতো যা দ্বারা সেই জমি নীল চাষের জন্য নির্ধারিত তখন কৃষকরা চাইলেও আর নিজেদের জীবন নির্বাহের ফসল ফলাতে পারতো না। একজন নীলচাষী তার জমির নীল চাষে প্রতি বিঘায় ২(দুই) টাকা অগ্রীম দাদন পেতো, কেউ যদি এই অগ্রিম দাদন নিতে অস্বীকার করতো তবে তার জন্য থাকতো নীলকরদের অত্যাচারের থাবা। কোন চাষী এই অগ্রীম দাদনের কবলে পড়লে সে তার এই দাদন শোধ করেও ঋণ এর বোঝা থেকে বের হতে পারতো না। তার এই ঋণের ভার তার পরবর্তী প্রজম্নকে বয়ে বেড়াতে হতো। নীল চাষ করে যে টাকা পেতো তাও তাদের কপালে জুটতো না। নীল চাষের পর নীল ছারা নীলকুঠিতে নিয়ে যাও্যার পর চলতো স্তরে স্তরে ঘুষ প্রদান। যদি নীলকুঠির কর্মচারীদের ঘুষ না দিতো তবে তারা তাদের নীল এর ছারা এর ওজন এ গড়মিল করতো, নীল এর আটিতে বেশি ধরতো এভবে কৃষকরা তদের উপার্জিত অর্থ ঘুষ প্রদানে ব্যয় করতে হতো। যেখানে প্রতি বিঘায় চাষীর খরচ হতো ০৩(তিন) টাকা তার বিপরীতে চাষী প্রতি বিঘায় পেতো ২টাকা। অথচ নীলকরের প্রতি বিঘায় লাভ হতো ১৩টাকা ৬আনা। নীলকরদের ছিলো নিজস্ব লাঠিয়াল বাহিনী, যদি কোন কৃষক নীল চাষ করতে অস্বীকার করতো তবে নীলকরদের আদেশে লাঠিয়ালরা চাষীদের ধরে নিয়ে আসতো নীলকুঠিতে এবং এই নীলকুঠিতে চলতো তাদের উপর অত্যাচার্, কৃষকদের কন্যা, স্ত্রী এদেরও ধরে নিয়ে এসে কুঠির নীলকরদের যাবতীর কাজ করাতো। নীলকুঠিতে ছিলো জেলখানা, বদ্ধ রুম, কৃষকদের বেধে রেখে তাদের মাথায় মাঠির প্রলেপ দিয়ে নীলের বীজ ছিটানো এবং কুঠি প্রাঙ্গনে তাদের বেদে রাখা ইত্যাদি। এই নীলকুঠি থেকে তাদের প্রাশাসনিক কাজ, নীলের প্রক্রিয়া জাত, অত্যাচার এর নীল নকশা, ষড়যন্ত্র ইত্যাদি রচিত হতো। নীল্কুঠি ছিলো কৃষকদের জন্য ভয়াবহ। |
নীলকরদের নিপীড়ন অতীত আমাদের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ তৈরি করে, অতীতের একটি ঘটনা আমাদের জীবনধারায় একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন নিয়ে আসে। যা আমাদের বয়ে বেড়াতে হয়, যদি তা খারাপ এর পর্যায়ে পড়ে তবে তা একটি দাগ হয়ে লেগে থাকে আমাদের সঙ্গে। বাংলা ছিলো সবুজে শ্যামলে শস্যে ভরা। যেই মাটিতে কৃষক তাদের সোনার ফসল ফলাতো জনগণের জৈবিক চাহিদা মিটাতে। অতঃপর এইখানে নীল এর তরী ভিড়লো এবং ধীরে ধীরে আমাদের কৃষক সমাজ সেই অন্ধকারে পতিত হতে থাকলো বাধ্য হয়ে। কৃষক এর ন্যায্যা তারা হারাতে শুরু করলো, যে ন্যায্যা তাদের শ্রমের ফল। সেই শ্রমের মূল্য জোরপূর্বক অনাদায় হতে শুরু করলো। শুরু হলো কৃষকদের অবহেলিত হওয়ার অধ্যায়। অথচ কৃষক আমাদের সোনার হরিণ। সেই সোনার হরিণে বেদনার নীল এর ছোয়া লাগা শুরু হলো। নীলকরেরা আমাদের কৃষক জাতির উপর অত্যাচারের এক বিভীষিকাময় অধ্যায়ের রচনা করেছিলো, যেই নীলকরদের কাছে কৃষকরা ছিলো টাকা উপার্জনের মেশিন। নীলকরদের ছিলো নিজস্ব লাঠিয়াল বাহিনী, যদি কোন কৃষক নীল চাষ করতে অস্বীকার করতো তবে নীলকরদের আদেশে লাঠিয়ালরা চাষীদের ধরে নিয়ে আসতো নীলকুঠিতে এবং এই নীলকুঠিতে চলতো তাদের উপর অত্যাচার্, কৃষকদের কন্যা, স্ত্রী এদেরও ধরে নিয়ে এসে কুঠির নীলকরদের যাবতীর কাজ করাতো। নীলকুঠিতে ছিলো জেলখানা, বদ্ধ রুম, কৃষকদের বেধে রেখে তাদের মাথায় মাঠির প্রলেপ দিয়ে নীলের বীজ ছিটানো এবং কুঠি প্রাঙ্গনে তাদের বেদে রাখা ইত্যাদি। এই নীলকুঠি থেকে তাদের প্রাশাসনিক কাজ, নীলের প্রক্রিয়া জাত, অত্যাচার এর নীল নকশা, ষড়যন্ত্র ইত্যাদি রচিত হতো। নীল্কুঠি ছিলো কৃষকদের জন্য ভয়াবহ। আমার এই প্রজেক্ট এর মূল লক্ষ্য হলো নীলকরদের অত্যাচার তোলে ধরা এবং তা দ্বারা কৃষকরা যেই ন্যায্যা অধিকার এবং অত্যাচারের নীল সাগরে ডুবে ছিলো তা তোলে ধরা। কৃষকদের মুছে যাও্যা এক আর্তনাদের অধ্যায় এর ইতিহাস জাগিয়ে তোলা। |
ধারণাগত বিবৃতি ২৩জুন, ১৭৫৭ সালে পলাশীর যুদ্ধের মধ্যে দিয়ে এই বঙ্গদেশে colonial period এর অধ্যায় শুরু হলো। এই colonial period এ ইংরেজরা হর্তাকর্তা হিসেবে আগমণ করলো। এই বঙ্গদেশে নীল চাষের বর্বরতার মধ্যে তারা লাভ দেখতে পেলো। অতঃপর তারা ১৭৭৭সালে এই দেশে আধুনিক নীলচাষের উৎপত্তি ঘটায়। এই নীলচাষের মাধ্যমে তারা অধিক লাভ আদায় করতে পারে। এই অধিক লাভের আশায় তারা কৃষকদের উপর নির্মমভাবে অত্যাচার চালিয়ে এই নীলচাষ অব্যাহত রাখে। কৃষকরা এক পর্যায়ে এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে রুখে দাঁড়ায় এবং ১৮৫৭-১৮৫৯সালের নীল বিদ্রোহের মাধ্যমে তারা এর থেকে রেহায় পায়। মূলত ইংরেজরা এই বঙ্গদেশের লোকেদের দাসের মতো ব্যবহার করে এবং তারাই নিয়ম-নীতি, আইন, বিচার-ব্যবস্থা,মান-নির্ণয় ইত্যাদি সবকিছুর নির্ধারক ছিলো। তাদের নির্ধারণ করে দেওয়া নীতি বা আইন মানতে বাধ্য ছিলো এই দেশের জনগণ। এক পর্যায়ে তার আএই দেশ থেকে বিতাড়িত হয়ে যায় কিন্তু তাদের নির্ধারণ করে দেওয়া নিয়ম-নীতি, আইন, বিচার-ব্যবস্থা,মান-নির্ণয় ইত্যাদি অনুসরণ এর মানদন্ড হিসেবে রয়ে যায়। এই পরবর্তী অধ্যায় কে Post-colonial Period হিসেবে চর্চা করা হয়। আমি মূলত ব্যবহারকারীকে একটি ভ্রমণ এর মধ্যে নিয়ে যেতে চেয়েছি। যেখানে সে প্রথম ধাপে colonial period সম্পর্কে জেনে নীলচাষের অধ্যায় সম্পর্কে জানবে, এবং এই ইংরেজরা এই দেশ ত্যাগ করার পরে কিভাবে তাদের চিন্তা-ধারার বীজ এই দেশের জনগণের মাঝে রেখে গেছে সেই post-colonial period এর পড়াশোনার একটি ইন্সটিটিউট হিসেবে ভেবেছি এবং ভ্রমণকারী এই জ্ঞানচর্চার মাধ্যমে এই ভ্রমণের সম্পূর্ণতা অর্জন করবে। |
সাইট বিশ্লেষণ ভাটপাড়া নীলকুঠি অবস্থিত কুষ্টিয়ার অন্তর্ভুক্ত মেহেরপুরে। প্রত্যেক শহরের একটি ইতিহাস থাকে, এবং সেই শহরটি তার এই ইতিহাস ঐতিহ্যের সাথে বেড়ে উঠে। এই বেড়ে উঠার মধ্যে ইতিহাসের বিভিন্ন স্তর বিদ্যমান থাকে। এই ইতিহাস গুলা মানব সৃষ্ট, যারা বিভিন্ন ভাবে ক্ষমতা জয় করে সেখানে রাজত্ব করে। এই বঙ্গদেশে এইভাবেই বৃটিশরা ক্ষমতা জয় করে এইখানে শাসন করতে আসে। তারা বিভিন্ন ভাবে তাদের ক্ষমতা, ব্যবসা, আইন ইত্যাদি এইখানে প্রতিষ্ঠিত করে। তারই মধ্যে নীলচাষ ছিলো তাদের অন্যতম লাভবান ব্যবসার মধ্যে একটি। এই নীলচাষের প্রসার করতে করতে তারা এই বঙ্গদেশের বিভিন্ন শহরে বিস্তার লাভ করার লক্ষ্যে নীলকুঠি স্থাপন করে এবং তা অবিভক্ত বাংলায় ভয়াবহভাবে ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমান বাংলাদেশের চুয়াডাংগায় প্রথম নীলচাষ শুরু হয় যেহেতু এই অঞ্চলটি তখন বর্তমান ভারতের নিকটবর্তী ছিলো। ধীরে ধীরে এই নীলচাষ বাংলার বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে। যেহেতু ইংরেজরা এই নীলচাষে অধিক লাভবান হতো সেহেতু তারা এই বাংলার কৃষকদের উপর অত্যাচার করে তাদেরকে নীলচাষ করতে বাধ্য করতো। তখন এই কুষ্টিয়ার শহরে বিভিন্ন ভাবে ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি গড়ে উঠে। এক পর্যায়ে এই বাংলা হতে বিতাড়িত হয়ে যায় কিন্তু তাদের এইসব বর্বরতার স্বাক্ষী হিসেবে এই স্থাপনা গুলার চিহ্ন পড়ে থাকে। বর্তমান বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নীলচাষে নীল অধ্যায়ের স্বাক্ষী হিসেবে নীলকুঠির স্থাপনা গুলা বিদ্যমান রয়েছে। অনেকগুলা নীলকুঠি একেবারেই নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে। ভাটপাড়া নীলকুটি প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে সংরক্ষিত করার চেষ্টা চলছে। এই নীলকুঠি তখনকার ইংরেজদের বর্বরতার কালো অধ্যায়ের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। |
নীলকুঠি মাস্টারপ্ল্যান বর্ণনা কুষ্টিয়ার কাজলা নদীর তীরে বাংলার অতীত ইতিহাসের কালো দাগ এখনো বিরাজমান। কী অরক্ষিত, যে ইতিহাস মানুষ মনে রাখে না। এখন এখানে জনগণের আন্দোলন শুধুমাত্র বিনোদনের জন্য, তারা আমাদের কৃষকদের নিপীড়নের ইতিহাস মনে রাখে না। কিন্তু এখানে ব্রিটিশরা কৃষকদের ওপর নিপীড়ন ও শোষণের অধ্যায় রচনা করেছে। মাস্টার প্ল্যানের মূল লক্ষ্য ছিল ঐতিহাসিক যাত্রার মাধ্যমে এর ঐতিহাসিক তাৎপর্য অক্ষুণ্ণ রাখা। মাস্টারপ্ল্যানটি একটি ভ্রমণকাহিনী হিসাবে শুরু হবে যেখানে একজন ব্যবহারকারী একটি ভ্রমণের মাধ্যমে পুরো গল্পের সাথে জড়িত থাকবেন। সুতরাং ব্যবহারকারী পাঁচ (০৫) গল্পে এই যাত্রা অনুসন্ধান করতে পারেন: 1. ঔপনিবেশিক সময়ের গ্যালারি 2. নীল চাষ, কৃষকের উপর নিপীড়ন, বিদ্রোহ 3. নীলকুঠি উঠান 4. ঐতিহাসিক কাজলা নদীর ধারে রিল্যাক্সেশন 5. পোস্ট-কলোনিয়াল থটস ইনস্টিটিউট এবং থট শেয়ারিং গ্রিন প্লাজা |
গাড়ি থেকে নামার পরে, ব্যবহারকারী প্রথমে তার প্রবেশ নিবন্ধন করে এবং তার যাত্রা শুরু করে, তারপরে তিনি ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক সময়ের গ্যালারিতে যান, সেখানে ব্রিটিশরা কীভাবে তাদের রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেছিল, কীভাবে তারা শাসন করেছিল, কীভাবে তারা কৃষকদের অন্যায়ভাবে শোষণ করেছিল। বেশি লাভ, আমাদের দেশের সম্পদ কীভাবে তাদের দেশে পাচার হচ্ছে ইত্যাদি। তারপর ব্যবহারকারী নীলকুঠি গ্যালারিতে প্রবেশ করবেন, যেখানে তিনি নীল চাষ সম্পর্কে জানতে পারবেন, কীভাবে আমাদের কৃষকরা এই নীল চাষের মাধ্যমে সর্বস্ব হারাতেন। তখন সে নিজেকে এই কালো অধ্যায়ের রেখে যাওয়া নীলকুঠি স্থাপনায় এবং এই কালো অধ্যায়ের নির্মমতায় খুঁজে পাবে। তারপর ব্যবহারকারী নদীর তীরে আসবে এবং এই উপলব্ধির সাথে ভাববে যে আমরা কীভাবে এই সংগ্রামের মধ্য দিয়ে এসেছি এবং কীভাবে আমরা এখনও এই বর্বরতার মধ্যে ডুবে আছি যা তারা রেখে গেছে। শেষ ধাপটি পোস্ট-কলোনিয়াল থটস ইনস্টিটিউট। সেখানে ব্যবহারকারী লাইব্রেরিতে আরও জ্ঞান অর্জন করতে পারেন। সেই শ্রেণীকক্ষগুলি ব্যবহার করে এই ইনস্টিটিউটে উত্তর-ঔপনিবেশিক সময়ের উপর লেকচার সিরিজের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। আর উন্মুক্ত চিন্তায় থট শেয়ারিং গ্রিন প্লাজা, যাতে তারা তাদের আলোকিত করতে পারে যে কীভাবে উত্তর-ঔপনিবেশিক সময় এখনও আমাদের প্রভাবিত করছে। |
সম্পাদনায় : স্থপতি ফাইজা ফাইরুজ নির্ণয় উপদেষ্টা লিমিটেড, পান্থপথ |