প্রকল্পের নামঃরিমডেলিং কৃষি মার্কেট : এ কমিউনিটি স্কোয়ার এট মোহাম্মদপুর
প্রকল্পের স্থান:মোহাম্মদপুর, ঢাকা
শিক্ষার্থীর নাম:মোঃ গোলাম কিবরিয়া খান
প্রকল্পের নামঃরিমডেলিং কৃষি মার্কেট : এ কমিউনিটি স্কোয়ার এট মোহাম্মদপুর প্রকল্পের স্থান:মোহাম্মদপুর, ঢাকা শিক্ষার্থীর নাম:মোঃ গোলাম কিবরিয়া খান প্রকল্পের বছর: ২০২৩ স্টুডিও শিক্ষক: স্থপতি আয়েশা সিদ্দিকা, স্থপতি শরীফ উদ্দিন আহম্মেদ, স্থপতি জিশান ফুয়াদ চোধুরী, স্থপতি ফারজানা রহমান বিভাগীয় প্রধান নাম:স্থপতি প্রফেসর ডঃ রোক্সানা হাফিজ বিশ্ববিদ্যালয়: আহসানুল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা |
কৃষি মার্কেট মোহাম্মদপুরের একটি গুরুত্বপুর্ণ স্থান। বাংলাদেশের কৃষি বিপণনের জন্য কৃষি মন্ত্রনালয় অধিদপ্তর এই মার্কেটটি প্রতিষ্ঠা করে। তখন থেকেই এটি সমগ্র মোহাম্মদপুর এবং আদাবর থানার জন্য চাল ও মসুর ডালের স্টোরেজ হাবের মতো কাজ করে। বর্তমানে এখানে ১৫০ টি স্টোরেজ দোকান রয়েছে। ১৯৮২ সালে ঢাকা সিটি কর্পোরেশন এই মার্কেটের মালিকানা দখলে নিলে কৃষি মার্কেট কাঁচা বাজার প্রতিষ্ঠিত হয় । এই বাজারে মোট ৪০০ টি দোকান রয়েছে, যেখানে গার্মেন্টস, মুদি, গহনা, প্লাস্টিক এবং গৃহস্থালি পণ্য, ষ্টেশনারি, শাকসবজি, মাছ এবং মাংস বিক্রি হয়। |
ছবি : কৃষি মার্কেটের ইতিহাস |
ছবি : কার্যকলাপ বিশ্লেষণ |
ছবি : বিদ্যমান প্রোগ্রাম |
ছবি : ড্যাপ (DAP) | ১. এই এলাকায় DMDP এবং ড্যাপ [২০১০] এর মান অনুযায়ী খোলা ও সবুজ স্থানের গুরুতর অভাব রয়েছে। মোহাম্মদপুর এলাকায় প্রায় ৪০ একর খোলা জায়গার প্রয়োজন যেখানে মাত্র ১০ একর আছে ,অন্যদিকে আদাবর থানার ২০ একর খোলা জায়গার প্রয়োজন কিন্তু আছে মাত্র ৫ একর । ২. ড্যাপ {২০১৫} এই এলাকাটিকে একটি বাণিজ্যিক অঞ্চল হিসাবে চিহ্নিত করেছে। ৩. নগর পরিকল্পনাবিদদের মতে আড়ৎটির অবস্থান সমাজের জন্য ভালো নয়। |
আইডিয়া ডেভেলপমেন্ট / চিন্তাধারাঃ নগর বাজারের পুনরুজ্জীবন প্রাথমিক ধারণাটি ছিল যে, জমির মূল্য, সাইট ফোর্স এবং এটি DAP অনুযায়ী ভবিষ্যতে কী হতে পারে তা বিবেচনা করে, আমাদের গ্রামের বাজারের সামাজিক আবহটি ফিরিয়ে আনা। বাজার সাধারনত মানুষের জমায়েতের স্থান হিসাবে ব্যবহৃত হয় যার একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক দিকও রয়েছে। কিন্তু এই মেট্রো সিটিতে সামাজিক সমাবেশের জন্য পাবলিক স্পেসের অভাব মানুষকে দিনদিন আরও অসামাজিক করে তুলছে। মোহাম্মদপুর এলাকাটি একটি আবাসিক কেন্দ্র এবং এটি আবাসনের সুযোগ-সুবিধা এবং সামাজিক সুবিধাগুলিকে অগ্রাধিকার দেয়। এই ধরনের এলাকায় একটি আড়ত থাকার কারণে, এখানে জমির ব্যবহার, জোনিং এবং আশেপাশের জমি ব্যবহারের যে উদ্দেশ্য তার সাথে সামগ্রিক সামঞ্জস্যের ক্ষেত্রে বিরোধ লক্ষ্য করা যায়। ব্যবসা, সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান এবং সম্প্রদায় পরিষেবাগুলোর দৃষ্টি আর্কষণ করার জন্য স্থানগুলোর পুনরায় প্রস্তাবণা দেয়া হয়েছে, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এবং সামাজিকতাকে উৎসাহিত করার জন্য। কারণ কৃষি মার্কেট ইতোমধ্যেই এই এলাকার জন্য একটি ল্যান্ডমার্ক হয়ে উঠছে। |
ছবি : বর্তমান অবস্থা |
ছবি : বর্তমান মার্কেট |
ছবি : ধারণাগত অঙ্কন |
নকশা উন্নয়ন কিচেন মার্কেটের বর্তমান অবস্থান স্থানীয়দের জন্য খুবই অসুবিধাজনক এবং সহজগম্য নয়। অন্যদিকে আড়তের অবস্থানটি লক্ষণীয় হলেও এর এক্সপোজারের প্রয়োজন কম। অতএব এটি কিচেন মার্কেটে সহজে প্রবশের জন্য একটি বাঁধাস্বরুপ। প্রকল্পটির লক্ষ্য এলাকাটিকে আরও হাঁটার উপযোগী করে বাসিন্দাদের হাঁটতে উৎসাহিত করা। ১. পথচারী-বান্ধব পরিবেশ তৈরি করে বাসিন্দাদরে হাঁটতে উৎসাহিত করা ৷ মূল বৈশিষ্ট্য: যেকোন জায়গার বৈচিত্র্য, ব্যাপক পরিসরে মানুষকে আকৃষ্ট করে। এ বৈচিত্র্যের প্রভাব বাজারের গ্রাহক র্পযন্ত পৌঁছায়। |
ছবি : ফর্ম ডেভেলপমেন্ট |
ছবি : গ্রাউন্ড ফ্লোর প্ল্যান |
ছবি : ফ্লোর প্ল্যান |
ওপেন প্লাজা ১. এর মাধ্যমে বাজারের মধ্যে বিভিন্ন নাগরিক সুবিধা পাওয়া যায়। |
ছবি : উন্মুক্ত প্লাজা |
ছবি : কাইনেটিক ফ্যাসাদ |
কাইনেটিক ফাসাদ : প্রতিফলিত বৈচিত্র্য ১. প্রতিটি প্যানেলের স্বতন্ত্র গতিবিধি ঢাকা শহরের মানুষের বৈচিত্র্যের প্রতীক হতে পারে। ঠিক যেমন প্রতিটি প্যানেল তার নিজস্ব গতিতে বিভিন্ন দিকে চলে, তেমনি এটি বাজারের দর্শকদের অনন্য জীবন এবং কার্যকলাপের প্রতিনিধিত্ব করে৷ |
ছবি : পূর্ব এবং উত্তর দিকের এলিভেশন |
ছবি : ছেদচিত্র AA' এবং BB' |
জুরি মন্তব্য : • বিল্ডিং এর ফ্যাসাদ আর হিট গেইন নিয়ে চিন্তা করা হয়েছে, কাজ করেছো। |
ছবি : প্রবেশপথ |
ছবি : সর্বসাধারণের চলাচলের স্থান |
ছবি : খাবার দোকান |
ছবি : শহুরে ব্রিজ |
সম্পাদনায় : স্থপতি ফাইজা ফাইরুজ নির্ণয় উপদেষ্টা লিমিটেড, পান্থপথ |