ছবি: বইয়ের সামনের মলাট |
ছবি: বইয়ের পেছনের মলাট |
বাস্তুকথা । স্থপতি মাজহারুল ইসলামের নির্বাচিত উক্তি সম্পাদকদের নামঃ স্থপতি কাজী খালি আশরাফ, স্থপতি সাইফ উল হক প্রকাশের তারিখঃ ২০১৪ প্রকাশকের নামঃ বেঙ্গল পাবলিকেশনস বইয়ে পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ১৩২ |
|
বইটির সংক্ষিপ্ত বিবরণঃ আশি-নব্বইয়ের দশকে স্থপতি কাজী খালিদ আশরাফ ও স্থপতি সাইফ উল হক-সহ বেশ কিছু নবীন স্থপতিবৃন্দ স্থাপত্যাচার্য মাজহারুল ইসলামের অনুপ্রেরণায় স্থাপত্য বিষয়ক আলাপচারিতা শুরু করেছিলেন। এই আলাপচারিতার মধ্য দিয়ে ধীরে ধীরে জন্ম নেয় ‘চেতনা’ নামের স্থাপত্য অধ্যয়ন কার্যক্রম কেন্দ্রিক সংঘের। চেতনার বিভিন্ন আসরে উঠে আসতো স্থাপত্য বা শিল্প বিষয়ক নানা গঠনমূলক কথাবার্তা ও চিন্তাভাবনা। এইসব কথাবার্তা বা উক্তিগুলো সময়ের প্রয়োজনে স্থপতি কাজী খালিদ আশরাফ ও স্থপতি সাইফ উল হক সমন্বিত সম্পাদনা করে এই বইয়ের মধ্যে তুলে ধরেছেন। এই বইটিতে মূলত স্থপতি স্থাপত্যাচার্য মাজহারুল ইসলামের বিভিন্ন স্থাপত্য, দেশ, পৃথিবী, প্রকৃতি, বাস্তবিক জ্ঞান বিষয়ক উক্তিগুলো নির্বাচিত করে তুলে ধরা হয়েছে। বইটির কিছু উক্তি এখানে তুলে ধরা হল : ১. আমি যদি আমার মাটির উপর শক্ত করে না দাঁড়াই আমার যদি শেকড় না থাকে, তাহলে আমি পথচ্যুত। হ্যাঁ, অসাধারণ মানুষ থাকতে পারে। লক্ষ-কোটি মানুষের ভিতর এমন একজন দাঁড়িয়ে যেতে পারেন যিনি অসাধারণ গুণের অধিকারী। এটা খুব কম ক্ষেত্রেই সম্ভব। ধরুন বিলেতে একজন বাঙালি কবিতা লিখছেন, শেক্সপিয়ার থেকে কম নয়; আমি মনে করি এটা অবান্তর। এর থেকে আরও বড় ব্যাপার হলো নিজের মাটিতে মর্যাদা নিয়ে কাজ করা, গর্বের সাথে বলা; আমি বাঙালি হিসেবে কাজ করছি। ২. বাংলো এবং প্যাভিলিয়নের ধারণা আমাদের সাঙ্ঘাতিক একটা নিজস্ব জিনিস। এটা আমাদের হাওয়া-বাতাসের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত, এটাই একটা যৌক্তিক সমাধান। একটা কুঁড়ে ঘর দাঁড় করানোর সাথে একটা পার্লামেন্ট বাড়ি দাঁড় করানোর যে অনেক তফাৎ সেটা আমি বুঝি, কিন্তু একটা কমপ্লেক্স যে একটা বাগানের মধ্যে হতে পারে, আর শহরের কেন্দ্রে থাকতে পারে সেই কমপ্লেক্স আর বাগান এটা একটা দারুণ জিনিস নয় কি? পাঠক বইয়ের মধ্যে খুঁজে পাবেন স্থপতি স্থাপত্যাচার্য মাজহারুল ইসলামের কিছু নকশার নান্দনিক গ্রাফিক্স। লাল শক্ত পেপারব্যাক মলাটের কভারের ভেতরে কার্টিজ কাগজের এই বইটি নিঃসন্দেহে পাঠকের মনে দাগ কেটে যাবে। |
সম্পাদনায় : স্থপতি মুহাম্মদ শাফায়েত হোসেন |