বই পরিচিতি

Advertise Link

Front

ছবি: বইয়ের সামনের পাতা

Back

ছবি: বইয়ের পেছনের পাতা

মাজহারুল ইসলাম । সিলেক্টেড ড্রয়িংস

লেখক : স্থপতি নুরুর রহমান খান

লেআউট এবং কম্পোজিশন : সাব্বির আহমেদ রাজ, মোহাম্মদ তৌহিদ 

পৃষ্ঠা : ২৫৬ পৃষ্ঠা, সাদা কালো

প্রকাশকাল : ২৫শে ডিসেম্বর, ২০১০

প্রকাশক : স্থাপত্য ও নির্মাণ 

ISBN : 978-984-33-2391-0

স্থপতি মাজহারুল ইসলাম (১৯২৩-২০১২) বাংলাদেশের স্থাপত্য পেশা চর্চার পথিকৃৎ। ‘মাজহারুল ইসলাম । সিলেক্টেড ড্রয়িংস’ বইটি মূলত এই প্রথিতযশা স্থপতির উল্লেখযোগ্য কিছু প্রকল্পের ড্রয়িং এবং স্থিরচিত্র নিয়ে প্রকাশ করা হয়েছে। ‘স্থাপত্য ও নির্মাণ’ ম্যাগাজিনটির সর্বপ্রথম সংখ্যায় স্থপতি মাজহারুল ইসলাম - এর ওপর একটি প্রতিবেদন ছাপানো হয়। এই ড্রয়িং সংক্রান্ত বইটির প্রকাশনার ক্ষেত্রেও ‘স্থাপত্য ও নির্মাণ’ আবার বাংলাদেশে আধুনিক স্থাপত্যধারা চর্চার এই কাজগুলো সকলের কাছে তুলে ধরার  সুযোগ গ্রহণ করেছে।

Cam Scanner 04 22 2024 15.37 01

উল্লেখ্য, এই বইটি ‘স্থাপত্য ও নির্মাণ’- এর প্রথম পুস্তক প্রকাশনা।

বইটির প্রারম্ভিকে স্থপতি নুরুর রহমান খান ‘মাজহারুল ইসলাম - মাস্টার আর্কিটেক্ট’ শিরোনামে স্থপতি মাজহারুল ইসলাম এবং তার ব্যক্তিত্ব, আদর্শ, বিভিন্ন কাজ ও অর্জনকে উপস্থাপন করেছেন।

বইটিতে স্থপতি মাজহারুল ইসলামের নকশাকৃত বিভিন্ন প্রকল্পের পরিচিতি, ধারনাগত আলোচনা, ড্রাফটিং করা প্ল্যান, সেকশন, এলিভেশন, স্ট্রাকচার ডিটেইল, পার্সপেক্টিভ ইত্যাদি খুব সুন্দর এবং স্পষ্টভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। একইসাথে, বইটির লেখক স্থপতি নুরুর রহমান খানের তোলা বেশকিছু ছবিও এ বইতে প্রকাশ করা হয়েছে। এছাড়াও, বইটিতে স্থপতি প্রফেসর শামসুল ওয়ারেস এর সাথে স্থপতি মাজহারুল ইসলামের একটি কথোপকথন রয়েছে, যার ইংরেজি অনুবাদ করেছেন স্থপতি নওশাদ এহসানুল হক। এই কথোপকথনে স্থপতির জীবন আদর্শ, তার স্থাপত্য চিন্তা এবং বাংলাদেশের আধুনিক স্থাপত্য সংক্রান্ত বিভিন্ন আলোচনা উঠে এসেছে, যা এই বইটির অন্যতম আকর্ষণ।

Cam Scanner 05 07 2024 15.19 01

ছবি : চারুকলা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

111

ছবি : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়াম

East & West Elevation

ছবি : চারুকলা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ব এবং দক্ষিণ দিকের এলিভেশন

Cam Scanner 04 22 2024 15.51 01

এ বইতে স্থপতি মাজহারুল ইসলামের উল্লেখযোগ্য যে প্রকল্পগুলো রয়েছে সেগুলো হলো যথাক্রমে -

১. চারুকলা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

২. স্থপতির নিজস্ব বাড়ি, ধানমন্ডি, ঢাকা

৩. পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট, রংপুর, পাবনা, বরিশাল, বগুড়া, সিলেট

৪. চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

৫. জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

৬. লাইমস্টোন মাইনিং এন্ড সিমেন্ট ওয়ার্কস হাউসিং, জয়পুরহাট

৭. জাতীয় গ্রন্থাগার, শের-এ-বাংলা নগর, ঢাকা

৮. স্থপতি নুরুর রহমান খান-এর বাড়ি, সিলেট

বইটির ভেতরের কাগজ মসৃণ, ছাপা ঝকঝকে। ড্রয়িং-এর ক্ষুদ্র ডিটেইলগুলোও বেশ ভালোভাবেই পড়া যায়। পাঠক বইটি নিয়ে শুধুমাত্র পাতা ওল্টালেও বেশ চমৎকৃত হবেন। স্থপতি মাজহারুল ইসলাম, স্থাপত্য সংক্রান্ত আদর্শ, স্থাপত্যবিদ্যা এবং স্থপতির কাজকে বোঝার জন্য এই বইটি দারুন কার্যকর।

 

বই পরিচিতি

Advertise Link

Front Page

ছবি: বইয়ের সামনের পাতা

Back Page.bmp

ছবি: বইয়ের পেছনের পাতা

প্রাচীন বাংলার স্থাপত্যধারা

লেখক : স্থপতি ড. সাজিদ বিন দোজা

প্রচ্ছদ ও অলংকরণ : লেখক নিজেই

আকার : ৯.৭৫² x ৭.৫², ৩৫০পৃষ্ঠা, সাদা কালো

প্রকাশক : অবসর প্রকাশনা সংস্থা

পরিবেশক : প্রতীক প্রকাশনা সংস্থা

ISBN : 978-984-8801-58-1

বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থাপত্যের শিক্ষক স্থপতি ড. সাজিদ বিন দোজার প্রিয় বিষয় স্থাপত্যের ইতিহাস, বিশেষ করে বাংলাদেশের স্থাপত্যের ইতিহাস নিয়ে তিনি দীর্ঘকাল গবেষণা করে চলেছেন। গবেষণার পাশাপাশি তিনি অত্যন্ত দক্ষতার সাথে প্রচুর ড্রইং করেছেন। এসব ড্রইং এর আলাদা প্রদর্শনীও অনুষ্ঠিত হয়েছে।


এই বইটির পুর্বসূরী হিসাবে তিনি ’Homesteads of the Barind Landscape’ শিরোনামে আরেকটি বই লিখেছেন। বিষয়বস্তুর মধ্যে একটা ধারাবাহিকতা রয়েছে, তবে এবার তিনি বাংলায় লিখেছেন।
Cam Scanner 04 21 2024 11.49 01

স্থাপত্য নিয়ে লেখালেখি কোন সহজ বিষয় নয়, বিষয়গত পরিভাষার আধীক্যে এডভেঞ্চার বা ভ্রমণ কাহিনীর পাঠে অভ্যস্ত পাঠকের জন্য এ রকম বই কিছুটা নিরস মনে হতে পারে। কিন্তু স্থাপত্য সংক্রান্ত প্রকাশনায় অনেক ড্রইং এবং ছবি থাকে, ফলে এসব বই পাঠকেরা অন্ততপক্ষে হাতে নিয়ে পাতা ওলটান।


ইতিহাসের পটভূমিতে ‘বাংলা’ নামের অঞ্চলটির আদি পরিচয় খুঁজে তার একটা নির্মাণ পরম্পরা তুলে ধরার ইঙ্গিত রয়েছে বই এর নামকরণইে। সেই কাজটি করতে গিয়ে এ অঞ্চলে বিভিন্ন সময়ে যে সব রাজবংশ বা শাসকরা বিভিন্ন স্থাপনা গড়ে তুলে স্থাপত্য চর্চার নানা ধরণের প্রভাব তৈরী করেছে, সেগুলি লেখক যত্নের সাথে তুলে ধরেছেন।

ভারতবর্ষ মানব সভ্যতার অনন্য পীঠস্থান। চার হাজার বছরের হরপ্পা-মহেঞ্জাদারো সভ্যতার স্থাপত্যিক নিদর্শন এখানে রয়েছে। তবে বর্তমান বাংলাদেশ বা বৃহত্তর বঙ্গে সেরকম স্থাপনা যা পাওয়া যায়, সেগুলি দুই থেকে আড়াই হাজার বছরের পুরানো। লেখক এই বইয়ে ইতিহাসের ধারাবাহিকতায় সেই মহার্ঘ স্থাপনাগুলি পাঠকদের জন্য তুলে ধরেছেন। তার আলোচনায় গুপ্ত-পাল-সেন যুগ থেকে শুরু করে সুলতানী ও মোঘল আমলের নানা ইমারত প্রকাশিত হয়েছে। তার পরিবেশনাকে চিত্তাকর্ষক করেছে তার আঁকা ড্রইংগুলি। ড্রইংগুলি এতই সমৃদ্ধ যে, শুধুমাত্র সেগুলি পৃথক প্রকাশনার দাবী রাখে।


বইটি শক্তভাবে হার্ড কভারে বাধাই করে সংগ্রহে রাখার উপযোগী। ভিতরের কাগজ ভাল এবং ছাপা ঝকঝকে, বয়স্কদের উপযোগী।

আশা করি বইটি পাঠক সমাদৃত হবে। 
Cam Scanner 04 21 2024 11.52 01
 Cam Scanner 04 21 2024 11.57 01 
Logo
Logo
© 2024 Copyrights by Sthapattya o Nirman. All Rights Reserved. Developed by Deshi Inc.